শনিবার

,

২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ। দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এই দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধা শূন্য করতে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে দেশের বাইরে বাংলাদেশী নাগরিকরা একত্রিত হয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, আলোচনা সভাসহ সাংস্কৃতিক আয়োজন করেন।