সোমবার

,

২০শে জানুয়ারি, ২০২৫

আমেরিকাজুড়ে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে উদযাপিত; নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় প্যারেড

এটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী থ্যাংকস গিভিং ডে। মেসিজ থ্যাঙ্কসগিভিং ডে প্যারেড, টার্কি উৎসব, একে অন্যের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ আরো নানা বর্ণিল আয়োজন ছিলো এই থ্যাংকস গিভিং ঘিরে।

শত শত বছর ধরে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয় আমেরিকাজুড়ে। এই বছর আকর্ষন ছিলো মেসিজ থ্যাঙ্কসগিভিং ডে প্যারেড । দীর্ঘ চার মাসের প্রস্ততির পর প্যারেডের আনন্দে মেতে উঠেছে নিউইয়র্কবাসী।

এই বছর জমকালো প্যারেডের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো ১৭টি ভিন্ন ক্যারেকটারের আকর্ষনীয় বেলুন। থ্যাঙ্কসগিভিং ডের সবচেয়ে বড় এই প্যারেডটি ছিলো নিউইয়র্কে। প্রায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ প্যারেডে মেতে উঠে নিউইয়র্কবাসী।

১৮ মাসের পরিকল্পনা আর চার মাসের প্রস্ততি শেষে এ বছর ১৭টি ক্যারেকটারের বিশাল বেলুন ওড়ানো হয় প্যারেডে। প্যারেডের পাশাপাশি ওড়ানো বেলুনগুলো অনেকের কাছে ছিলো আকর্ষনীয়।
কয়েক মাইল দীর্ঘ লম্বা প্যারেডে ছিলো বৈচিত্রময় পরিবেশনা। এবারের প্যারেডে স্পাইডারম্যান, মিকিমাউসসজ, গ্যাভি, গোকুর মতো বিভিন্ন ক্যারেকটার অনেকের নজর কেড়েছে। প্যারেডকে ঘিরে ছিলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। ম্যানহাটনের ওয়েস্ট সেভেনটি সেভেন্থ স্প্রিট থেকে শুরু হয়ে সিক্সথ এভিনিউতে প্যারেডটি শেষ হয়।

এদিকে, এদিন ছিলো আমেরিকার ফেডারেল ছুটির দিন। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের চতুর্থ বা শেষ বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে থ্যাংকস গিভিং ডে উদযাপন করা হয়। দিবসটিতে ধনী-গরীব সবাই মেতে ওঠে ঐতিহ্যবাহী টার্কি ভোজে। পারিবারিকভাবে প্রতিটি ঘরেই চলছে টার্কির মধ্যাহ্নভোজ আর নৈশ্যভোজ।

আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিরাও টার্কি উৎসবে মেতেছেন। এর আগে প্রতিবছরের মত এই বছরও গ্রোসারিগুলোতে হালাল টার্কি সংগ্রহে ভিড় জমিয়েছিলো কমিউনিটির মানুষ। নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস,ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ম্যারিল্যান্ড, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনাসহ বিভিন্ন স্টেটে বাংলাদেশি ও মুসলমান মালিকানাধীন গ্রোসারিগুলোতে প্রচুর পরিমাণ হালাল টার্কি বিক্রি হয়েছে।

থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র পরের দিনকেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ বলা হয়ে থাকে। এ দিনের জন্যও মানুষের অপেক্ষার কমতি নেই। একবছর ধরেই অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে আমেরিকার দুই তৃতীয়াংশ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষজন কম দামে ভালো একটা কিছু কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। শতকরা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ মূল্যহ্রাস করা হয় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের।